এবার শুধু কলকাতা নয় বাংলার জেলাগুলিতেও বাড়ছে ডেঙ্গির দাপট। বৃষ্টির জমা জলই হচ্ছে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির মশার আসল ডেরা।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্যে শনিবার থেকে পরিদর্শন শুরু করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। ইতিমধ্যেই ৬টি দল দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ঘুরে রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
ডেঙ্গির কী কী উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে যাবেন?
জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে যে,
- শারীরিক দুর্বলতা
- মাথা ঘোরা
- অস্থিরভাব
- অচেতন হয়ে পড়লে হাসপাতালে যাবেন।
এছাড়াও,
- রক্তক্ষরণ
- কালশিটে
- শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট
- বমি
- পেটে ব্যথা
- কম প্রস্রাব
এরম সমস্যা দেখা দিলেই তবেই হাসপাতালে যেতে হবে।
কোন কোন জেলায় বাড়তি নজর দেওয়া হবে?
উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও বীরভূমের কয়েকটি জায়গায় বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দুর্গাপুরের পলাশডিহা অঞ্চলে অল্প সময়ে অনেক মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৬ দিনে ওই এলাকায় ২৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ দল ওই এলাকা পরিদর্শন করেছে এবং জেলার সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে দৈনিক রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য দফতর রানাঘাটের ডেঙ্গি পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখা হয়েছে। সেখানেও টিম পাঠানো হয়েছে। বেলেঘাটা আইডি-তে রানাঘাটের যে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাকে একাধিক মেডিক্যাল কলেজ থেকে রেফার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কেন এমন ঘটল তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুর্গাপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রচুর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সোমবার পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডের পলাশডিহা এলাকায়, আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে গেছে। নদিয়ার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি এমনকী মুর্শিদাবাদ জেলাতেও বহু রোগী আসেন, কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে, গত কয়েক দিনের মধ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ২৯ জন ভর্তি হয়েছে এবং জ্বর নিয়ে ভর্তি আছেন প্রায় ৭০ জন।
বিশেষজ্ঞরা এই ডেঙ্গি পরিস্থিতিতে পরামর্শ দিচ্ছেন আরও বেশি সতর্ক থাকার। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বাড়ছে দিনদিন।
চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে জ্বর হলে ফেলে না রাখতে এবং সবকটি রক্তপরীক্ষা করিয়ে ফেলাটা খুবই জরুরি। তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়িতে থেকেই আক্রান্তদের সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়ে উঠবে।