কড়কনাথ বা কালি মাসি, মধ্যপ্রদেশের বিখ্যাত মুরগি প্রজাতির মধ্যে অন্যতম। সম্পূর্ণ কালো এই মুরগির পালন মূলত ওই অঞ্চলেই হয়ে থাকে। এই মুরগিই এবার রাজ্যে নতুন করে পালন করার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু কেন? কি এমন আছে এই সম্পূর্ণ কালো মুরগিতে যার জন্য আলাদা করে এর পালন নিয়ে ভাবা হচ্ছে? হ্যাঁ, ভাবার কারণ আছে। কারণ, এই মুরগির যা বৈশিষ্ট তা বেশিরভাগ প্রজাতিরই নেই। এই মুরগিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। অর্থাৎ এই মুরগির মধ্যেই রোগ প্রতিরোধের জন্য যা যা দরকার তার সবটাই রয়েছে। এর আগেই সরকারের তরফ থেকে এই কালো মুরগির ছানা বিতরণ করা হয়েছিল। এই মুরগির গুণাবলীর কথা মাথায় রেখেই সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল এই মুরগির ছানা।
এবার এই মুরগির গুণাবলীর কথা ভেবে এই মুরগি পালন করার ব্যাপারে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে পঞ্চায়েত দফতরকে।এই কালো মুরগি আসলে দেশি মুরগি। বর্তমানে পঞ্চায়েত দফতরের কমপ্রিহেন্সিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের অধীনে থাকা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় এই কালো মুরগির পালন করা হচ্ছে। জানা গেছে, এই মুরগির উপকারিতার কথা মাথায় রেখেই নতুন করে এই মুরগি পালন নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এই মুরগির উৎপাদন যদি ভালো হয় তাহলে অন্য প্রজাতির মুরগির থেকে সস্তায় এই মুরগি পাওয়া যাবে এমনটাও জানা গেছে। পঞ্চায়েত দফতরের তরফ থেকে জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশ থেকে কালো মুরগির ছানা এনে হরিণঘাটা, পুরুলিয়া এবং বর্ধমানে শুরু হয়েছে এই মুরগির পালন।
এই মুরগির কালো বর্ণের জন্য এই মুরগির মাংস থেকে শুরু করে ডিম সমস্তটাই কালো রঙের হয়ে থাকে। এমনকি এই মুরগির রক্তও কালচে লাল রঙের হয়ে থাকে। মাংসের রং কালো হওয়ার কারণে মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলার স্থানীয়রা একে কালামাসি বলে থাকে। সাধারণভাবে অন্যপ্রজাতির মুরগির থেকে এই কালো মুরগির দাম অনেকটাই বেশি। কিন্তু এই মুরগির মাংসে ফ্যাট রয়েছে ১% এর ও কম। এছাড়াও এই মুরগির ডিমে ও মাংসে আয়রনের পরিমান প্রচুর থাকে। এই মাংসে প্রোটিনের পরিমান রয়েছে ২৪ থেকে ২৫ শতাংশ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে প্রতি ক্রিকেটারের খাদ্যতালিকায় এই মাংস রাখার পরামর্শ দিয়েছে। পরামর্শ মতো ইতিমধ্যেই খাদ্যতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কড়কনাথ মুরগির মাংস।