রথের দিনে কোটি টাকার বুকিং, যাত্রাপালায় ফিরছে নতুন আশার আলো

একসময়ে মনরঞ্জনের অন্যতম মাধ্যম ছিল যাত্রাপালা। উৎসব অনুষ্ঠানে যাত্রা দেখার জন্য বসে থাকত সাধারণ মানুষ। নামকরা দল এসে অভিনয়ে মাতিয়ে তুলত পরিবেশ। কিন্তু বিগত কিছু বছরে হারিয়ে গিয়েছে যাত্রা শব্দটি। সিনেমা ওয়েব-সিরিজের যুগে খুব বেশি কদর পায়না যাত্রাশিল্পীরা। কিন্তু রথযাত্রার দিনে অপ্রত্যাশিত ভাবেই কোটি টাকার বুকিং হল নন্দকুমারের শ্রীধরপুরে।

কলকাতার চিৎপুরের পরেই যাত্রা পাড়া হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের শ্রীধরপুর। নন্দকুমার হাইরোড সংলগ্ন ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় ২৫টি যাত্রাপালার বুকিং কাউন্টার রয়েছে। প্রতিবছরই রথেযাত্রার দিন এখানে যাত্রা কোম্পানিগুলি বসে থাকে বুকিংয়ের অপেক্ষায়। তবে বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই যাত্রাপালা বুকিং –এর হার কমে গিয়েছিল। কিন্তু এই বছর যাত্রার বুকিং নিতে হিমসিম খেল যাত্রাদলগুলি।

রথযাত্রার দিন সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে পুজো কমিটি এবং ক্লাবগুলি থেকে লোকজন যাত্রাপালার বুকিং করে গিয়েছেন। শুধু দুর্গাপুজো নয়, জগদ্ধাত্রীপুজো, কালীপুজোসহ নানান অনুষ্ঠানের জন্যই চলেছে বুকিং।

এই অপ্রত্যাশিত চাহিদা দেখে খুশি যাত্রাদলগুলি। প্রথম সারির পালাগুলির বুকিং শুরু হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা থেকে এবং সর্বোচ্চ প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত বুকিং নেওয়া হয়। রথযাত্রার দিনে যাত্রাপালা বুকিংয়ের সংখ্যা ১৭০-তে পৌঁছেছে এবং ইতিমধ্যেই পাঁচশোর বেশি অর্ডার হয়ে গিয়েছে। আশা করা যায় এই যাত্রাপালা গুলি সফল হলে প্রায় কোটি টাকার বেশি উঠে আসবে। তাই এমন ঘটনায় যাত্রা নিয়ে আবারও নতুন আশার আলো দেখছে যাত্রাদলগুলি। 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...