চীনকে বার্তা দেওয়ার জন্য বিশ্বের ১ নম্বর বায়ু সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় বায়ু সেনার যৌথ মহড়া শুরু হল ৩ ডিসেম্বর। রাজ্যে বায়ুসেনার দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি পানাগড় ও কলাইকুণ্ডার উপর বরাবর নজর থাকে চীনের পাবলিক লিবারেশন আর্মির(পিএলএ)। এবার সেই দুটি ঘাঁটিতে সোমবার শুরু হল ভারত এবং মার্কিন বায়ুসেনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যৌথ মহড়া 'কোপ ইন্ডিয়া ২০১৯'। যৌথ মহড়ায় যোগ দিতে কলাইকুণ্ডা ঘাঁটিতে এসে নেমেছে মার্কিন বায়ুসেনার অন্যতম আধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-১৫। মহড়ায় অংশ নেওয়ার জন্য জাপানের কাদেনা বিমানঘাঁটি থেকে ১৫টি মার্কিন যুদ্ধবিমান পৌঁছচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। আসছে মার্কিন বায়ুসেনার ইলিয়ন এয়ার ন্যাশনাল গার্ডের ১৮২টি এয়ারলিফট উইং। ভারতের তরফে থাকছে সুখোই-৩০ একেআই, মিরা-২০০০, জাগুয়ার এই এল ৭৮, সি-১৩০ যে সুপার হারকিউলিসের মত যুদ্ধবিমানগুলো। বায়ুসেনা সূত্রের খবর, প্রায় ৪০টি যুদ্ধবিমান এই মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে। দুটি ঘাঁটি থেকে আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মহড়া চলবে। বায়ুসেনা সূত্রের খবর চীন সীমান্তের কথা মাথায় রেখে '১৭ মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর' নামে যে এলিট ফোর্স তৈরী করেছে ভারত, সেই বাহিনীর একটি অংশকেও ভবিষ্যতে পানাগড়ে রাখার কথা হচ্ছে। অর্থাৎ চীনের মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য সবসময় পানাগড়কে প্রস্তুত রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে কলাইকুণ্ডা থেকে ভারত-চীন সীমান্তের দূরত্ব যতটা, পানাগড় থেকে তার চেয়ে অনেকটাই কম। পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর লজিস্টিক সাপোর্ট (পরিবহন) ও সাপ্লাই লাইন (সরবরাহ) মজবুত রাখার প্রশ্নে পানাগড়ের বায়ুসেনা ঘাঁটি অনেকখানি ভূমিকা নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ১৯৬২-র যুদ্ধে এই লজিস্টিক সাহায্য না পাওয়াটা ভারতীয় বাহিনীর হারের অন্যতম কারন হিসেবে ধরা হয়। তাই চীন সীমান্তে দ্রুত পৌঁছনোর জন্য এই পানাগড়কেই উন্নত করছে বায়ুসেনা। এবার সেই বিমানঘাঁটিতে প্রথমবার মার্কিন বায়ুসেনাকে নিয়ে আসছে ভারত। যা সাম্প্রতিককালে চীনের রক্তচাপ বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।