কোচবিহারের শুভঙ্করের রিমোট কন্ট্রোল প্লেন দেখে মুগ্ধ সকলে!

ছোটবেলা থেকেই প্লেনের প্রতি তাঁর এক অন্যরকম ভালবাসা। তাঁর আর এক  আকর্ষণ  রিমোট কন্ট্রোলের জিনিসের প্রতিও। বর্তমানে কোচবিহারের এই যুবকের ইঞ্জিনিয়ারিং দেখে রীতিমতো সকলে অবাক। তিনি তৈরি করে ফেলেছেন একটা আস্ত রিমোট কন্ট্রোল প্লেন। এই যুবকের নাম শুভঙ্কর সাহা। কোচবিহারের বিবেকানন্দ স্ট্রিট সংলগ্ন নিউ পাটাকুড়া এলাকায় তাঁর বাড়ি। তিনি ২০২২ সালে কোচবিহার কলেজ থেকে কলা বিভাগে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং বর্তমানে সে কোচবিহারের এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের পার্ট টাইম কর্মী। তবে এর পরেও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতি তাঁর আগ্রহ এবং ভালবাসা একটুও কমেনি। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতি ভালবাসা থেকেই শুভঙ্কর তৈরি করে ফেলেছে এই রিমোট কন্ট্রোল প্লেনটি।

শুভঙ্কর সাহা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, যে তাঁর ছোটবেলা থেকেই রিমোট কন্ট্রোল জিনিসের প্রতি ভালবাসা ছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করা হয়নি বটে, তবে তিনি এই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছেন তাঁর অদম্য ভালবাসা ও মনের জেদ থেকে। দীর্ঘ সময় প্রচেষ্টার পর তাঁর এই সাফল্য এসেছে। প্লেন বানানোর আগে রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি ও রিমোট কন্ট্রোল বোট তৈরি করেছিলেন। তাঁর আরও ইচ্ছে এই প্লেনকে উন্নত করে তোলার। সেইজন্য রোজ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এই ভালবাসার মূল বাধা হচ্ছে আর্থিক জোগান। শুভঙ্ক্রের আশা সেটি যদি অতিক্রম করতে পারেন তাহলে হয়তো আরও ভালো জায়গায় পৌঁছতে পারবেন।

তিনি আরও জানিয়েছেন যে পরিবারের প্রতিটি মানুষ দিনের পর দিন পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছে তাঁকে। তাঁদের অনুপ্রেরণাতেই বেড়েছে সাফল্যের খিদে। তাঁর ইচ্ছা এই নির্মাণকে আরও উন্নত করে দেশের বিভিন্ন সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত করার।

তিনি প্রমাণ করতে চান যে সাফল্যের ক্ষেত্রে গতানুগতিক শিক্ষার ‘বিভাগ’ কোনও বিষয় নয়। ইচ্ছে ও মনের জোরটাই হল আসল বিষয়। এটা মাথায় রাখলেই যে কোনও মানুষ সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছতে পারেন। তাঁর স্বপ্নের প্লেনকে সফলভাবে ট্রায়াল রান করেছেন বহুবার। সামান্য কিছু ত্রুটি রয়েছে সেগুলিকেও ঠিক করে নেওয়ার চেষ্টা করছে তিনি। তিনি এমনটাই মনে করছেন যে ভবিষ্যতে তাঁর এই প্লেনটি বিভিন্ন সুরক্ষার কাজেও ব্যবহার করা যাবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...