চৈত্র নবরাত্রিতে মেনে চলতে হয় কী কী নিয়ম

৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে চৈত্র নবরাত্রি পালন। চলবে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, চৈত্র মাসের নবরাত্রি তিথিতে শুরু হয় চৈত্র নবরাত্রি উৎসব। এই উৎসব বঙ্গদেশে বাসন্তী পুজো নামে পরিচিত। বাসন্তী পুজোই বাঙালির আদি দুর্গা পুজো। 

নবরাত্রি তিথি থেকে শুরু করে নয় দিন ধরে উপবাস পালন করেন ভক্তরা। দেবী দুর্গার নয়টি রূপের পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গা এক্ষেত্রে নবদুর্গা নামে পরিচিত। শৈলপুত্রী পুজোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব। মা ব্রহ্মচারিণী, মা চন্দ্রঘণ্টা, মা কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, মা কাত্যায়নী, মা কালরাত্রি, মা মহাগৌরী, মা সিদ্ধিদাত্রীর পুজো হয়।

ব্রহ্ম পুরাণ অনুযায়ী নবরাত্রির প্রথম দিন আদ্যাশক্তি প্রকট হন। তাঁর আদেশেই ব্রহ্মা চৈত্র শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে সৃষ্টির নির্মাণ শুরু করেন। মৎস্য পুরাণ মতে, চৈত্র নবরাত্রির তৃতীয় দিন বিষ্ণু মৎস অবতার ধারণ করেন। এই নবরাত্রিতেই রামের রূপে নিজের সপ্তম অবতারে দেখা দেন বিষ্ণু। শেষ দিনে রাম নবমী পালিত হয়।

গোটা বছরে মোট চারবার নবরাত্রি পালিত হয়, তবে শারদীয় এবং চৈত্র নবরাত্রি বিশেষ। চৈত্র নবরাত্রি উপলক্ষে সতীপীঠগুলিতেও বিশেষ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্ত ও তীর্থযাত্রী সমাগম হয়।

নবরাত্রির উপবাস ব্রত পালন করেন মানুষ। বেশ কিছু নিয়ম ও খাদ্যবিধি, দান, সংযম মেনে চলতে হয়। নয় দিন নয়টি বিশেষ বিশেষ রঙের পোশাক পরেন মহিলারা।এবার নবরাত্রিতে পাঁচটি রাজযোগ তৈরি হয়েছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...