মারণরোগ ক্যানসারের চিকিৎসা পদ্ধতি কেমোথেরাপিতে চুল পড়ে যায় ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে বলা হয় ‘ক্যানসার অ্যালোপেসিয়া’। এর ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তারা। অনেকে বাড়ি থেকে বের হতে চান না বা অন্য মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাতে চান না। কিন্তু এবার এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে ‘স্ক্যাল্প কুলিং থেরাপি’। বিদেশের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এই থেরাপির প্রচলন থাকলেও, দেশে প্রথম চালু হচ্ছে এই থেরাপি।
এই থেরাপিকে বলা হয় ‘স্ক্যাল্প হাইপোথারমিয়া’। ‘আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি’-র গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই থেরাপিতে নির্দিষ্ট কিছু ডিভাইসের মাধ্যমে মাথার ত্বকের তাপমাত্রা কমিয়ে প্রদাহ কমানোর চেষ্টা করা হয়, এর ফলে মাথা ঠান্ডা হয় ও চুল পড়া বন্ধ হয়।
এই থেরাপির মোট দুটি ভাগ রয়েছে। প্রথমটি হল, অটোমেটেড বা স্বয়ংক্রিয় এবং দ্বিতীয়টি হল ম্যানুয়াল। অটোমেটেড বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে রোগীর মাথায় এক ধরনের বিশেষ স্ক্যাল্প কুলিং ক্যাপ বা কোল্ড ক্যাপ পরিয়ে দেওয়া হয়। এই ক্যাপে থাকা জেল বা জলীয় বস্তু মাথার ত্বককে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে ম্যানুয়াল স্ক্যাল্প কুলিং ডিভাইস হিসেবে ‘ফ্রোজ়েন জেল ক্যাপ’ ব্যবহার করা হয়। এটিতে ড্রাই আইস ভরে রোগীর মাথায় পরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এই ক্যাপ বেশি ক্ষণ ঠান্ডা ধরে রাখতে পারে না। সেই কারণে প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর ক্যাপ বদল করতে হয়। তবে এই ধরনের ক্যাপ সেই রোগীদের দেওয়া যায়, যাঁদের টিউমার রয়েছে। রক্তের ক্যানসারের রোগীদের এই ক্যাপ পরানো হয় না।
তবে এই ক্যাপ ভুল ব্যবহার করলে রোগীর শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে।