অ্যাংজাইটি কমাতে মেডিটেশন?

ঘরে বাইরে কাজের চাপে যখন স্ট্রেস চরমে ওঠে তখন মগজ ও মনের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখতে অভ্রান্ত সমাধান ‘মিউজিক’। চারপাশের শোরগোল দূরে সরিয়ে রেখে হেডফোনে প্রিয় গানের মধ্যে রিলিফ খুঁজে নেন অনেকে। বাড়ির নিরবিলি কোণে বাজতে থাকা মৃদু গানের সুরে মেডিটেশনকে ডিপ্রেশন কাটাবার দাওয়াই মনে করেন বহু মানুষ।
তবে সাম্প্রতিক গবেষণা কিন্তু একেবারে অন্য কথা বলছে। মন খারাপ, ভয় বা অবসাদ কাটাতে এই দাওয়াই অব্যর্থ হিসেবে মানতে নারাজ গবেষকরা। এই ধরনের পদ্ধতি মানুষকে ডিপ্রেশন থেকে সত্যি সত্যি কতটা উদ্ধার করতে সে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। ব্রাউন ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফর্নিয়ার একদল গবেষক ডিপ্রেশন এবং অ্যাংজাইটিতে ভুগছে এমন মানুষদের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। সেখান থেকে ভিন্ন ভিন্ন মত উঠে এসেছে। অনেকেই নেতিবাচক মত দিয়েছে।
কোন ধরনের মেডিটেশন পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে তার ওপর সবটা নির্ভর করছে। অনেকেই বাড়ি বা ঘরের কোণে বসে মেডিটেশনের সুযোগ পান না তাঁরা গাড়ি বা চলার পথেও মেডিটেশন করে থাকেন বলে জানিয়েছেন সমীক্ষায়।
অ্যাংজাইটি ছাড়াও অ্যাসমা, ক্রনিক যন্ত্রণা, ব্লাড প্রেসারের সমস্যা, টেনশন কাটাতে অনেকেই মেডিটেশন করে থাকেন।
কিন্তু এই গবেষকরা জানাচ্ছেন, সমস্যা অনুযায়ী মেডিটেশন পদ্ধতি বেছে নেওয়া উচিত। ইচ্ছেমত পদ্ধতি অবলম্বন করলে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...