জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম সের একটি পুজো বোসপুকুর তালবাগান সর্বজনীন ক্লাবের সদস্যবৃন্দ। পুজো আড্ডা @জিয়ো বাংলা অনুষ্ঠানে সঞ্চালক শ্রেষ্ঠার সাথে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি শ্রী শুভেন্দু ঘোষ এবং ক্লাবের সম্পাদক শ্রী অমিতাভ ঘোষ। তারা জানালেন এই বছর ২৮ তম বর্ষে পদার্পন করলো তাদের এই পুজো।
১৯৯৮ সাল থেকে থিমপুজোর হাত ধরে পথচলা শুরু করে এই ক্লাব। তার আগে সাবেকি পুজোই হতো। ২০০০ সালে কাঠ খোদাই করে রামায়ণ সৃষ্টি করার পর থেকেই লাইমলাইটে আসে এই ক্লাবটি। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ক্লাবটির পুজো দেখতে এতো বেশি ভিড় হয় যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একসময় দুই বছরের জন্য এই পুজো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও জায়গার অভাবের কারণে নিজেদের সঠিকভাবে মেলে ধরতে পারছিল না এই ক্লাব। জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে একটি স্থায়ী জায়গা পায় ক্লাবটি।
এই ক্লাবটির এই বছরের থিম 'পর্ণচ্ছায়া'। বছরের বিভিন্ন সময়ে প্রকৃতির নানা রূপ পরিবর্তন তুলে ধরতে চাইছেন শিল্পী। প্রতিমায় এবং মণ্ডপসজ্জায় থাকছে নতুনত্ব, জানালেন ক্লাবের সদসরাই। পূজা মণ্ডপে দর্শনার্থীদের অতিরিক্ত ভিড় সামলানোর জন্য সকাল থেকে তিনটি আলাদা শিফটে থাকছে নিরাপত্তা কর্মীরা। সকালের দিকে কম কর্মী থাকলেও রাত্রে ৩০ থেকে ৪০ জন কর্মী সেখানে মজুত থাকেন। এছাড়াও কসবা থানার একেবারে সামনে পুজোটি হওয়ার কারণে প্রশাসনের সাহায্য মেলে বলেও জানিয়েছেন তারা। নবমীতে মায়ের ভোগের দায়িত্ব দেওয়া থাকে ক্লাবের মহিলা সদস্যবৃন্দের উপরেই। সাবেকি ভোগ অর্থাৎ খিচুড়িই নিবেদন করা হয় মায়ের উদ্দেশ্যে।
পুজো ছাড়াও রক্তদান শিবির, বৃক্ষরোপণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির প্রভৃতির আয়োজন করা হয় এই ক্লাবের পক্ষ থেকে। এই ক্লাবটিতে পৌঁছাতে গেলে আপনাকে নোয়াপাড়া কিংবা কবিসুভাষগামী মেট্রো করে নামতে হবে কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে বাস নিয়ে পৌঁছে যেতে হবে কসবা। কসবা বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের কাছে পৌঁছালেই দেখতে পাবেন বোসপুকুর তালবাগানের মণ্ডপটি।