বিধানসরণি অ্যাটলাস ক্লাব | জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯

পুরুষপ্রকৃতির মিলনের ফলেই প্রকৃতির কোল আলো করে জন্ম নিচ্ছে হাজার হাজার নতুন প্রাণ। কিন্তু তা সত্ত্বেও পৃথিবীর কোল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জন্মদাত্রী প্রকৃতির সেই সৌন্দর্য্য। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্টুডিওতে উপস্থিত বিধানসরণি অ্যাটলাস ক্লাবের সদস্যবৃন্দ জানালেন, প্রকৃতির হারানো সৌন্দর্য্য। ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য এই ক্লাবের।

পুজো আড্ডা @ জিয়ো বাংলা অনুষ্ঠানে সঞ্চালক শ্রেষ্ঠার সাথে উপস্থিত ছিলেন এই ক্লাবের সম্পাদক শ্রী বিশ্বজিৎ ঘোষ, ক্লাবের অন্যতম সদস্য রিয়া মিত্র এবং এই বছরের থিমশিল্পী শ্রী পবিত্র দাস। তারা জানালেন, ৫৬ তম বর্ষে দাঁড়িয়ে তাদের থিম 'সৃষ্টি স্থিতি'। শিল্পী জানালেন, প্রকৃতির হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য্যকে আবারও ফিরিয়ে আনার ডাক দিতে চাইছেন পুজোর থিমের মধ্যে দিয়ে।

বিগত পাঁচ বছর ধরে থিমপুজোর হাত ধরেছে এই ক্লাব। তার মধ্যেই নানা বার্তা দিয়ে চলেছে দর্শনার্থীদের। এইবছর তারা উপহার দিতে চাইছেন প্রকৃতি মায়ের সেই রূপ যা তার সমস্ত শক্তি দিয়ে আগলে রেখেছে তার সন্তানদের। জানা গেছে, এই ক্লাবটি মণ্ডপের দ্বার উন্মোচন করতে চলেছে তৃতীয়ার দিন। সেইদিন দুঃস্থ শিশুদের বস্ত্রবিতরণের মধ্যে দিয়েই সূত্রপাত হতে চলেছে এই বছরের সেরা উৎসবের

পুজো ছাড়াও শীতকালে কম্বল বিতরণ, স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির ছাড়াও বার্ষিক ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে। নবমীতে মায়ের পায়ে নিবেদন করা হয় সাবেকি খিচুড়ি ভোগ। সেই ভোগ বিতরণ করা হয় দুঃস্থ মানুষদের মধ্যেও। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিবছরের হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার দর্শনার্থীর ভিড় হয় এই পুজো দেখার জন্য। অত্যন্ত বেশি ভিড় সামলানোর জন্য সুরক্ষা মাত্রা বাড়ানোর কথা ভাবছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও রয়েছে ক্লাবের নিজস্ব ভলান্টিয়াররা। এছাড়াও থাকছে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু লোক এবং বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষের জন্য থাকছে হুইলচেয়ারের সুবিধা। এই ক্লাবটিতে পৌঁছাতে চাইলে নোয়াপাড়া কিংবা কবিসুভাষ-গামী মেট্রোতে করে এসে নামতে হবে শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনে। শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় বিধানসরণি ধরে থেকে মিনিট দুয়েক হাঁটলেই আপনি পৌঁছে যাবেন বিধানসরণি অ্যাটলাস ক্লাবের পূজা মণ্ডপে। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...