জেনে নিন চরম গরমে কোন কোন ফল রক্ষাকবচের কাজ করবে

৪০ ডিগ্রিতে পুড়ছে বাংলা। তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা। সকাল থেকেই লু-এর দাপট। ঘাম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় শরীরে জলশূন্যতার সমস্যা বাড়ছে। গ্রীষ্মের চোখ রাঙানিতে বদলে গিয়েছে প্রতিদিনের খাওয়াদাওয়াও।এই গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে চাই জল আর ফল। গ্রীষ্মের বেশিরভাগ ফলে জলের মাত্রা বেশি থাকায় তা শরীরে সতেজভাব নিয়ে আসে। এই সব ফলের পুষ্টিগুণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও প্রচুর। কোন কোন ফল ডায়েটে গরমে রক্ষাকবচের কাজ করবে নিবন্ধে রইল তার খোঁজ  

Watermelon

তরমুজ- এই ফলের ৯২ শতাংশই জলে পরিপূর্ণ। এছাড়াও তরমুজে মজুত রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, বি৬ এবং সি। তরমুজের বীজেও রয়েছে নানান উপকারী উপাদান। যেমন- পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি। এইসব উপকারী খনিজ এবং ভিটামিনে ত্বক ভাল থাকে। কিডনি ও হার্টের সমস্যার স্টোনের আশঙ্কা কমে। অ্যাজমা, ওয়াটার রিটেনশন এবং কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে।

Cucumber

শশা – এতে প্রায় ৯৬ শতাংশ জল থাকে, এছাড়া রয়েছে প্রচুর ডাইজেস্টিভ এনজাইম যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরে জল ধরে রাখতেও এর জুড়ি নেই। রয়েছে প্রচুর ফাইবার। তাই কনস্টিপেশন প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

Papaya

পেঁপে – পেঁপেতে জল ছাড়াও ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ পেঁপে খুব উপকারী। গরমে শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে এই ফলটি নানা ভাবে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বাড়াতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁপের কোনও বিকল্প হয় না। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে আসে এই ফল।

পেয়ারা - পেয়ারার ফাইবার পেট ভাল রাখে। এছাড়াও, সুগারের রোগীদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী। কারণ এর ফাইবার ইনসুলিনকে সক্রিয় করে তোলে। মেটাবলিক স্বাস্থ্যও ভাল রাখতে সাহায্য করে পেয়ারা।

আম – বলা হয় ফলের রাজা আম। আমে ৮৩ শতাংশ জল থাকে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমে রয়েছে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন যা চোখের জন্যেও অত্যন্ত ভালো।

আঙুর – আঙুরে প্রায় ৮১% জলীয় অংশ রয়েছে। এটি পরিপাকতন্ত্র থেকে অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং কিডনির উপর চাপ কমায়। আঙুর মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস যেমন, কপার, আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজে ভরপুর একটি ফল যা হাড়ের গঠন এবং মজবুত হওয়ার জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিডনির যে কোনও সমস্যা থেকে আমাদের মুক্ত রাখে।

লিচু –লিচুতে প্রায় ৮৪% জল থাকে যা ডি হাইড্রেশন উপশমে বিশেষ কার্যকরী। লিচু ক্যানসারের নোভিস কোষগুলিকে ধংস করে। ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হ্রাস করে। প্রচুর ফাইবার ও জল যা হজমে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

জামরুল – জামরুলে ৮৩% জল রয়েছে। এছাড়াও ফ্ল্যাভনওয়েড ও ফাইটকেমিক্যাল সমৃদ্ধ জামরুল ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এই ফলের গ্লাইসেমিক লোড খুব কম হওয়ায় ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এই রসালো ফল মস্তিষ্ক ও লিভারের যত্নে টনিক হিসাবে কাজ করে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...