এবার জিআই স্বত্ব (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস) তকমা পেল বাংলা। আরও এক পালক লাগলো বাংলার মুকুটে। পুণের সংস্থাকে হারিয়ে পাঁচটি সম্পদকে এই তকমাটি দেওয়া হয়েছে। সেই পাঁচটি সম্পদ হল — সুন্দরবনের মধু, গরদ, কড়িয়াল, টাঙ্গাইল শাড়ি, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির সুগন্ধি কালোনুনিয়া চাল।
গত বুধবার থেকে কেন্দ্র সরকারের জিআই পোর্টালের স্টেটাসে বাংলার নাম রেজিস্টার্ড দেখা যাচ্ছে। তাই এখন শুধু শংসাপত্র পেতে সময়ের অপেক্ষায় সবাই। জানা গিয়েছে যে রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগকে খুব শ্রীঘ্রই জিআই কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে এই সুখবর জানাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলার শাড়ি শিল্পীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুন্দরবনের মধু জিআই তকমা পেয়ে খুবই গর্বিত দেখছে রাজ্যের পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম। দেখা গিয়েছে যে পুণের একটি সংস্থা এতদিন একচেটিয়া ব্যবসা করে আসছিল। এবার সেটার মোড় পালটেছে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের তত্ত্বাবধানেই সুন্দরবনের মউলিরা এই মধু সংগ্রহ করেন। এরপর দীর্ঘকাল ধরে ওই নিগম প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বাজারে এনেছে সেই মধুকে, যা ‘মৌবন’ নামে পরিচিত।
জিআই স্বত্ব পাওয়া উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির কালোনুনিয়া চালকে ‘প্রিন্স অফ রাইস’ বলা হয়। দেখা যায় ধানের রং কালো হলেও চালের রঙ একেবারে ধবধবে সাদা। নানার ধরণের পোলাউ বানাতে কালোনুনিয়া চাল অন্যতম। বর্তমানে জলপাইগুড়ি ছাড়াও এই ধানের চাষ হয় হলদিবাড়ি, নাগরাকাটা, ধূপগুড়ি, রাজগঞ্জ, ময়নাগুড়িতে। এই ধান প্রকৃতিবান্ধব চাল হিসাবেই পরিচফিত সকলের কাছে। জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কর্তা বিপ্লব দাস এই বিষয়ে জানিয়েছে যে, এখন কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারেরও কিছু জায়গায় এই চালের চাষ হয়। তবে, এখন পরম্পরা মেনে কিছু চাষি এই ধান চাষ করেন। এই ধানের গুণমান বাড়াতে গবেষণাও করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এছাড়া জানা গিয়েছে যে রাজ্য কৃষিদপ্তর এই জিআই ট্যাগ পেতে পদক্ষেপ করেছে।
অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের মির্জাপুরে কড়িয়াল সিল্ক শাড়ি খুবী জনপ্রিয়। এক কথায় বলা যায় বিশ্ববিখ্যাত। এছাড়া টাঙ্গাইল ও গরদ শাড়ির সুনামও ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। এখন বিশ্ববাংলার বিভিন্ন স্টলেও রাখা হচ্ছে এইসব দামি শাড়ি। এছাড়া বিদেশেও যাচ্ছে এই শাড়ি।