লিচুকে হার মানাবে কাঠলিচু

ছোটবেলায় গাছ থেকে আঁশ ফল পেরে খায়নি এমন মানুষ খুব কম আছেন। আঁশ ফল শব্দটা শুনলেই মনে পড়ে যায় কত স্মৃতি। খেতে মিষ্টি এই ফলের নাম আঁশ ফল হলেও ফলের গায়ে কিন্তু তেমন আঁশ থাকে না। গ্ৰীষ্ম আর বর্ষার সময় গ্ৰাম বাংলার আঁশ ফল গাছে ভর্তি হয়ে যায় এই ফলে। সেই সময় ছোটরা গাছ থেকে পেড়ে আনে এই সুস্বাদু ফল। ফলটি দেখতে অনেকটা লিচুর মতো হলেও স্বাদ একটু টক। লিচুর মতো দেখতে বলেই এই ফলের আরেক নাম কাঠ লিচু। তবে উপকারিতা অনেক বেশি লিচুর থেকে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে আঁশ ফলে। ক্যালশিয়াম, খনিজ পদার্থ, শর্করা পাশাপাশি এই ফলের ৭২ শতাংশই জল।

আঁশ ফলের খোসাতেও রয়েছে পুষ্টিগুণ। খোসা যদি গুঁড়ো করে কোনও খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় মুক্তি পাওয়া যাবে সব রকমের দূর্বলতা থেকে। আঁশ ফলের শাঁস থেকে তৈরি হয় ভেষজ ওষুধ। যা ব্যবহার করা হয় হজমের সমস্যা ও পাকস্থলির সমস্যার চিকিৎসার জন্যে। আঁশ ফল গাছের পাতায় রয়েছে ক্যান্সার, অ্যালার্জি, হৃদরোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে আঁশ ফল। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এছাড়াও বহু শারীরিক সমস্যার এড়িয়ে চলার ওষুধ হল আঁশ ফল। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রেও আঁশ ফলের উপকারিতা সম্পর্কে লেখা আছে।

এতো খাদ্যগুন থাকা সত্ত্বেও লিচু, বেদানা ও আমের থেকে দাম অনেকটাই কম। সাধারণত ক্রান্তীয় অঞ্চলেই দেখা পাওয়া যায় এই ফলের। তবে খাদ্যগুণ নয়, বিভিন্ন ধরনের পুজো সময়ে প্রসাদ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় আঁশ ফল।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...