ময়েশ্চারইজার ব্যবহারেও কমছে না ত্বকের রুক্ষতা, কী করবেন?

বসন্ত এসে গিয়েছে। তবু সমাধান নেই ত্বকে রুক্ষতার সমস্যা। বডিঅয়েল, ময়েশ্চারাইজার কোনটাতেই সমাধান মেলে না। একবার, দু’বার নয়, বারবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেও হাল একই।

তবে সমাধান আছে। বোতলবন্দী বাজারের ময়েশ্চারের পাশাপাশি আছে কিছু ঘরোয়া টোটকা। সাধারণ কিছু নিয়ম আর বাড়তি যত্ন লাগে তার জন্য।

বাইরে বেরলে ধূলো, ধোঁয়ায় ত্বকে শুষ্কতার সমস্যা আরও বাড়ে। তাই বাড়ি ফিরেই ত্বকের যত্ন নিতে হবে। মুখ, ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ক্রিম দিতে হবে। এ সময়ে রসাল ফল, ডাবের জল, হালকা টক ফল ত্বককে পুষ্টি জোগায়।

অনেকে শীত তো বটেই ফেব্রুয়ারি, মার্চেও গরম জলে স্নান করেন। গরম জল কিন্তু ত্বককে আরও শুষ্ক করে তোলে। তাই মুখে কখনও গরম জল ব্যবহার ঠিক নয়। বারবার মুখ ধুলেও ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে।

স্নানের পর, বিশেষ করে মুখ জল দিয়ে ধোয়ার পর মুখের ভিজে ভাব থাকতে থাকতে অলিভ অয়েল, ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম দিতে হবে। আর কিছুক্ষণ পরপর ত্বকে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে। রান্নাঘরে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ক্রিম লাগাতে হবে।

মুখের ত্বকে মৃত কোষ দূর করতে মুখ–হাত ও পায়ের ত্বকে ময়দা, আটা বা বেসনের সঙ্গে মধু বা অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণ ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এই ভেষজ উপাদান ত্বকের রুক্ষভাব দূর করে।

তবুও যদি না ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়, বা চামড়া অতিরিক্ত খসখসে হয়ে আঁশ ওঠে তাহলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

যাঁদের এটোপিক ডার্মাটাইটিস, সোরিয়াসিসের মতো চর্মরোগ রয়েছে, তাঁদের ত্বক এমনিতেই খসখসে থাকে। এ ধরনের চর্মরোগের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত পেট্রোলিয়াম জেলি, ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করুন। যাঁদের ত্বক বেশি শুষ্ক, তাঁরা ঠোঁট, হাত, পায়ের পাতা, গোড়ালি ফেটে গেলে চামড়া টেনে ওঠাবেন না। এতে ফাটা জায়গার মধ্যে তাড়াতাড়ি জীবানুঘটিত সংক্রমণ ঘটে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...