এবারেও বিশ্বভারতীতে প্রথা ভেঙে উদযাপিত হল বসন্ত বন্দনা, ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা

ফের প্রথা ভাঙল বিশ্বভারতী। এবারেও দোলের দিন বসন্ত উৎসব হল না।

বুধবার বিশ্বভারতীতে অনুষ্ঠিত হল বসন্ত বন্দনা উৎসব। সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন উপাচার্য, সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, কর্মী ও কর্মী সংঘের সদস্যরা ছাড়াও পড়ুয়ারা। এছাড়া জানা গিয়েছে যে এদিন বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বসন্ত উৎসব উদযাপন করা হয়।

তবে, এইবছরের অনুষ্ঠান শেষে “রাঙিয়ে দিয়ে যাও, যাও গো এবার যাবার আগে” সংগীত ও নৃত্য পরিবেশিত হলেও কোনও রকম আবির বা রং খেলা হয়েনি। তার পরিবর্তে ফুল দিয়ে নৃত্যটি সম্পন্ন হয়।

তবে জানা গিয়েছে এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটক ও বহিরাগতদের কোনওরকম প্রবেশধিকার ছিল না। ফলে, কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে যান সকল স্থানীয় বাসিন্দারা।

শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসব ও পৌষমেলা খুবই জনপ্রিয়। দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসে পর্যটক-সহ রাজ্যের অনেকেই। তবে, ২০২১ সালের পর থেকে এই জনপ্রিয় বসন্ত উৎসব পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হবার পরেও এই বিষয়টা পরিবর্তন হয়নি।

এই বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি করেছেন যে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি পাওয়ার পর আশ্রম চত্বরে কোনওভাবেই লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে বসন্ত উৎসব সম্ভব নয়। তাই ভিড় আটকাতে বসন্ত বন্দনার আয়োজকে এইভাবে করা হয়েছে।

অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে প্রবীণ আশ্রমিকরা জানিয়েছেন যে তাঁরা রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী বলতে কখনও শুধু ছাত্র ও শিক্ষকদের বুঝতেন না। তাঁরা বিশ্বভারতীর সব অনুষ্ঠানে এখানকার বাসিন্দাদেরও যুক্ত করতেন। তাঁদের ভাবধারায় আকৃষ্ট হতেন সকলেই। কিন্তু তাঁদের মতে, সেই ঐতিহ্য রীতি রেওয়াজ বর্তমানে কিছুই নেই।

তাঁরা আরও জানিয়েছেন ইউনেসকো থেকে উৎসব অনুষ্ঠানগুলিকে নিয়েই স্বীকৃতি মিলেছে অথচ এই উৎসব অনুষ্ঠানগুলিকেই পুরোপুরি বাদ দিয়ে নতুন রকম করে ফেলছে কর্তৃপক্ষ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...