নতুন করে সেজে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে পূর্ব রেলের ২৮টি ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের ১০টি স্টেশন। ‘অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের’ অধীনে আনা হয়েছে এই স্টেশনগুলিকে। ৬আগস্ট ভার্চুয়ালি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এর সূচনা করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের রেল স্টেশনগুলির মানের উন্নতি ঘটাতে এবং যাত্রী পরিষেবার দিকে আরো বিশেষ করে নজর দিতে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রেল সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের মোট ৩৭টি স্টেশনকে নতুনভাবে সাজানো হবে। তার মধ্যে রয়েছে তারকেশ্বর, ইসলামপুর,আলিপুরদুয়ারের মোট ১৫টি স্টেশন, ধূপগুড়ি, আসানসোল, বর্ধমান,মালদহ-সহ একাধিক স্টেশন।

বর্ধমান স্টেশন বহু পুরোনো স্টেশনের মধ্যে অন্যতম একটি স্টেশন। এটি জংশন বলে মেন লাইন ও কর্ড লাইন ছাড়াও বহুদূরগামী ট্রেনও এসে দাঁড়ায় এইখানে।
এবার এই চরম ব্যস্ত স্টেশন পাল্টে ফেলবে নিজের রূপ। অমৃতের জাদুতে স্টেশনে সংযুক্ত হবে ওয়াইফাই। পরিণত হবে ছোটখাটো বিমান বন্দরে।
প্রায় ৬৪.২ কোটি টাকা খরচ করা হবে এই স্টেশনের আধুনিকীকরণের জন্য।
তবে বর্ধমানের ঐতিহ্য সংস্কৃতি সবকিছুর কথা মাথায় রেখেই করা হবে সবকিছু। নবরূপের বর্ধমান স্টেশনে থাকবে বিস্তীর্ণ ওয়েটিং এরিয়া, নান্দনিক ডিজাইন, বিশাল ওয়েটিং হল, টিকিট কাউন্টার, ভাল মানের টেকসই আসবাবপত্র, লিফট এবং এসকেলেটর। স্টেশনে থাকবে পরিবেশ-বান্ধব বৈশিষ্ট্য যুক্ত নানান জিনিস।যেমন সোলার আলো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ইত্যাদি।
এছাড়া, ফুট ওভার ব্রিজও থাকবেনা নড়বড়ে।নির্মিত হবে সবকিছুই। সৌরশক্তির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে তাই সোলার প্যানেল বসানো হবে।
প্রযুক্তিগত দিক নজরে রেখে স্টেশনের ট্রেন আসা যাওয়ার বিষয়টি যাতে আরও বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিক হয় তার ব্যবস্থা করা হবে।
স্টেশনটিকে কীভাবে আরো বেশি আধুনিক ও সুন্দর করে তোলা যায় তার দিকে নজর রাখা হবে সর্বত ভাবে।
In English

