In English
বার্সেলোনা – ২ (এইন্সলে মেটল্যান্ড নাইলস – আত্মঘাতী গোল, লুইস সুয়ারেজ)
আর্সেনাল – ১ (পিয়েরে এমরিক অওবামেয়াং)
ক্যাম্প ন্যুতে শুরু হয়ে গেল ফুটবল মরশুম, আবারও পদার্পণ বার্সেলোনার। রবিবার প্রদর্শনী ম্যাচে আর্সেনালকে হারিয়ে জোয়ান গ্যাম্পার ট্রফি ফের জিতল বার্সেলোনা। পাশাপাশি ব্লগরানা জার্সিতে ক্যাম্প ন্যুতে অভিষেক হল আতোঁয়া গ্রিজম্যান ও ফ্রেঙ্কি ডে জং-এর।
ক্যাম্প ন্যুতে থাকা ৯৯ হাজার দর্শকের সামনে নিজেদের পরিচিত পাসিং ফুটবল খেলতে শুরু করে বার্সা। আর্সেনাল প্রায়সময়ই রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে প্রথমার্ধে। কিন্তু স্ট্রাইকারে অওবামেয়াং থাকায় কাউন্টার অ্যাটাকিং ফুটবলে অতি উৎসাহী ছিল গানারসরা। আর ঠিক সেই স্ট্র্যাটেজিতেই প্রথম গোলটি পায় আর্সেনাল। ৩৬ মিনিটে মেসুট ওজিল এর পাসে গোল করে অখ্যাত গাবোন এর বিখ্যাত স্ট্রাইকার পিয়েরে এমরিক অওবামেয়াং। আর প্রথমার্ধ অবধি বার্সেলোনা ঘরের মাঠে পিছিয়ে থেকে শেষ করে ১ গোলের ব্যবধানে।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে মুহুর্মুহু আক্রমণ শানাতে থাকে বার্সেলোনা। চাপে পড়ে যায় আর্সেনালের ডিফেন্ডাররা। আর এই অস্বাভাবিক চাপে মস্ত বড় ভুল করে বসেন ইংল্যান্ডের এই দল। ৬৯ মিনিটে একটি হাস্যকর ভুলে আত্মঘাতী গোল করে ফেলেন তরুণ উইংব্যাক এইন্সলে মেটল্যান্ড নাইলস। যা আবারও ম্যাচে ফিরিয়ে আনে বার্সাকে। আর বার্সেলোনা ম্যাচে ফিরে এলে কার্যত তারা জিতেই ফেরে। তবে গোলমুখ না খোলায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন ক্যাম্প ন্যু এর দর্শকেরা। শেষপর্যন্ত ৯০ মিনিটে সের্জি রবের্তোর ক্রসে ভলি মেরে বার্সিলোনাকে ম্যাচ জেতান অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ।
যদিও এই ম্যাচে মাঠে নামেননি অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তবে ম্যাচের আগে দর্শকদের সামনে শপথ নেন গত মরশুমের ভুলকে শুধরে দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার। বলা বাহুল্য, গত দুই মরশুমেই যথাক্রমে রোমা ও লিভারপুল এর কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্যায়ে প্রথম লেগে এগিয়ে থেকেও ম্যাচ হেরে গিয়েছিল বার্সেলোনা। ফলে তারা এবার সেই ভুলগুলিকে শুধরে নতুন করে লড়াইয়ে নামবে তা বলাই বাহুল্য।
