রাজ্যজুড়ে এখন মা দুর্গার সাথে মেতে রয়েছে সবাই। কিন্তু তাঁর সাথেই অন্যদিকে দেবের সাথেও সময় কাটিয়ে নিল দর্শকেরা। 'বাঘা যতীন' রূপে দেবের সেই রুপ দেখে উত্তেজিত গোটা শহর।
১৯ অক্টোবর, মহাপঞ্চমীর দিন প্রেক্ষাগৃহে বাংলায় মুক্তি পেল অরুণ রায়ের পরিচালিত ছবি 'বাঘা যতীন' । প্রত্যেকবারের মতো প্রথম দিনের প্রথম শো সাফল্যের সঙ্গে উত্তর দিতে হাজির তারকার অনুরাগীরা। সেই সঙ্গে সাধারণ দর্শকও ভিড় জমালেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাহিনি ফুটে উঠেছে এই ছবিতে। এটাই কথা দিয়েছিলেন দেব। রাখলেন সে কথা তিনি।
তাঁর এই নতুন অবতার দেখতে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রেক্ষাগৃহে ভীড় জমান অনুরাগীরা। ব়্যালি করে অনুরাগীর দল পৌঁছয় নবীনা সিনেমা হলে। সেই সঙ্গে ছিল ঘোড়ার গাড়িতে দেবের বিশাল কাটআউট। সাথে পুজোর শহরে ঢাকের আওয়াজ।
দেখা গিয়েছে, ব়্যালি নিয়ে প্রেক্ষাগৃহের সামনে পৌঁছতেই প্রিয় অভিনেতার পোস্টারে পরানো হল মালা, কাটা হল কেক। তারপরেই কেনে আসছে স্লোগান 'শিরায় শিরায় রক্ত, দেব দার ভক্ত', 'এক দুই তিন চার, দেব দা সুপারস্টার' আরও কত কী। প্রত্যেকের মুখে শোনা যাচ্ছিল এক কথা, 'দেব দা মানে সেই ছবি সুপারহিট হবেই।'
বিগত কয়েক বছরে দেব নিয়ম ভেঙে ছবি করেছেন বারবার। নানা ধরনের বিষয়ের ওপর ছবি করেছেন। কখনও বাবা-ছেলের সম্পর্ককে তুলে ধরেছেন, কখনও ব্যোমকেশ রূপে, আবার কখনও তাল মিলিয়ে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
এবার তাঁকে দেখা গেল এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর চরিত্রে। স্বাধীন ভারত যাতে বাঘা যতীনকে চেনে। সেই চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেননি অভিনেতা। এদিন জমজমাট ছিল নবীনার ফার্স্ট শো।
হাততালি, চিৎকারে ফেটে পড়ছেন দর্শক। দারুন মজা করেছেন সবাই। ছবি দেখার পর দর্শকের মুখে শোনা যাচ্ছে, 'দেব সফল। দশে দশ তাঁর পারফর্ম্যান্স, ছবির অ্যাকশন দৃশ্য, সবটাই।' অনেকে আবার ব্যোমকেশের থেকেও এই ছবিকে এগিয়ে রাখলেন।
আজ দেশজুড়ে 'বাঘা যতীন' মুক্তি পাবে হিন্দিতে। এবার গোটা দেশ দেখবে এই ছবি। কেমন প্রতিক্রিয়া মিলবে সেই অপেক্ষায় রয়েছেন নির্মাতারা।