দেশের অন্যতম বৃহৎ স্বয়ম্ভু শিব লিঙ্গ দেখা যায় ওড়িশার ভূষণ্ডেশ্বর মন্দিরে

ওড়িশার বালেশ্বর জেলার ভোগারাই গ্রামের কাছে অবস্থিত ভূষণ্ডেশ্বর মন্দির। দেশের অন্যতম বৃহৎ স্বয়ম্ভু শিব লিঙ্গ দেখা যায় এই মন্দিরেই। এশিয়ার বৃহত্তম শিব লিঙ্গ হিসেবে খ্যাতি আছে এই মন্দিরের। তবে এ ব্যাপারে দ্বিমতও আছে। 

ভূষণ্ডেশ্বর মন্দির নিয়ে একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। সেই কাহিনী অনুসারে, শিবভক্ত রাবণ শিবকে সন্তুষ্ট করে তাঁর কাছ থেকে একটি মহাশক্তিশালী শিবলিঙ্গ লাভ করেন। সেই শিবলিঙ্গটি নিয়ে তিনি লঙ্কার দিকে যাত্রা করেন। দশাননের এই কর্মকান্ডে স্বর্গে দেবতাদের মধ্যে আলোড়ন পড়ে যায়। কারণ এই শিবলিঙ্গটি লঙ্কায় নিয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠা করলে রাক্ষসরাজ রাবণ অপরাজেয় হয়ে যাবেন। এই ভয় থেকেই দেবতারা লঙ্কেশ্বরকে আটকানোর একটি কৌশল স্থির করেন। দেবতারা চক্রান্ত করে রাবণের প্রচণ্ড প্রস্রাবের বেগের সৃষ্টি করেন। রাবণ আর সেই বেগ সহ্য করতে না পেরে এক সময় শিবলিঙ্গটি মাটিতে নামিয়ে রেখে ভারমুক্ত হলেন, কিন্তু ফিরে এসে কিছুতেই আর শিবলিঙ্গটিকে তুলতে পারলেন না। শেষে রাবণ শিবলিঙ্গটকে সেখানেই রেখে চলে যেতে বাধ্য হলেন। সেই শিবলিঙ্গই হল ভূষণ্ডেশ্বর শিবলিঙ্গ।

গ্র্যানাইট পাথরের তৈরী কালো রঙের শিবলিঙ্গটি মাটিতে প্রোথিত। বলা হয় শিব লিঙ্গের অর্ধেক অংশ মাটির তলায়। মোট উচ্চতা ১২ ফুট ও প্রস্থ ১৪ ফুট।

এই শিবলিঙ্গ বহুদিন পর্যন্ত সাধারণের দৃষ্টির অগোচর ছিল। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে এক ব্যবসায়ী এই শিবলিঙ্গটি খুঁজে পান।

দীঘা বা তাজপুর থেকেই রওনা হয়েও দর্শন করা যায় এই মন্দির। ভূষণ্ডেশ্বর মন্দির থেকে চন্দনেশ্বর মন্দিরও যাওয়া যায়, বা উল্টোটা। দুই শিব তীর্থের দুরত্ব ৪০ কিলোমিটার।      

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...