সারাবছর প্রচুর মানুষ তারাপীঠে পুজো দিতে যান| প্রতিক্ষেত্রেই ভক্তদের অভিযোগ থাকে মাতৃমন্দির ছাড়া আর কোনো বেড়ানোর জায়গা নেই সেখানে| মন্দির ঘোরা হয়ে গেলে মোটামুটি হোটেলবন্দী হয়েই কাটাতে হয় পুণ্যার্থীদের| বেড়ানোর কথা বাদ দিলেও দিনের শেষে কাজ থেকে ফিরে ঘরবন্দী হয়ে থাকতে হচ্ছে মোটামুটি সকলকেই| এই নিয়ে বহুদিন ধরেই ক্ষোভ ছিল পুণ্যার্থী এবং সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে| এই সমস্যা এবার মিটতে চলেছে| জানা গেছে, তারাপীঠে আট কোটি টাকা ব্যয় করে দ্বারকার পাড়ে তৈরী হতে চলেছে একটি পার্ক| জানা গেছে, এই পার্ক তৈরী কাজ ইতিমধ্যেই প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে| শীঘ্রই এই পার্কের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়|
বিশেষ বিশেষ তিথি ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে প্রতিদিন ভিড় জমান পূণ্যভূমি তারাপীঠে| প্রতিক্ষেত্রেই পর্যটকদের বক্তব্য থাকে, পুজো দেওয়ার পর বেড়ানোর কোনো জায়গা নেই সেখানে| এলাকা প্রবীণ নাগরিকদের একই বক্তব্য| তারা জানিয়েছেন, সন্ধ্যেবেলা সমবয়সী সকলে মাইল একসাথে বসে আড্ডা দেওয়ার কোনো জায়গা নেই সেখানে| এরফলে রাস্তার ধারের কোনো চায়ের দোকানকে বা কোনো ফাঁকা মাঠকেই আড্ডার জন্য বেছে নিতে হতো তাদের| এইকারণে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বারকার পাড় সাজিয়ে তলার দাবি জানাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা| অবশেষে সেই দাবি পূরণের উদ্যোগ নিল তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ| প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সেজে উঠতে চলেছে মহাশ্মশানের পাশের প্রায় আধ কিলোমিটার এলাকা| নদীর পাড় উঁচু করে ঢালাই করে বাঁধিয়ে তৈরী হচ্ছে এই পার্ক| টাইলস দিয়ে রাস্তা তৈরী ছাড়াও নিরিবিলি জায়গায় বসার জায়গায় তৈরী করা হচ্ছে ওই পার্কে| উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এই পার্কে এসে যারা বসবেন তাদের মনে হবে একেবারে দ্বারকা নদীর উপরেই বসে রয়েছেন| পার্কটিকে ঘিরে থাকবে উজ্জ্বল এলইডি বাতিস্তম্ভ| পরিবেশের দিকে নজর দিতে পার্কের মধ্যে বিভিন্ন পাতাবাহার গাছ এবং রঙিন ফুলের গাছও লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে| টিআরডি-এর ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এর আগে তারাপীঠে এলে ভক্তদের জন্য আলাদা করে কোনো বেড়ানোর জায়গা ছিল না| সেই সমস্যার এবার পাকাপাকি সমাধান হতে চলেছে|