সাগরদ্বীপে নৌঘাঁটি হতে পারে বলে জানালেন নৌ কর্তারা

নৌবাহিনীকে আরও শক্ত-পোক্ত করার উদ্দেশ্যে সাগরদ্বীপে একটি নৌ ঘাঁটি করার কথা সম্প্রতি আশার আলো দেখাচ্ছে। 'কোস্টাল ব্যাটারি' বলে পরিচিত ওই ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করার জন্য জমি নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। এই কোস্টাল ব্যাটারি তৈরী হলে তা রাজ্যে হবে প্রথম নৌ ঘাঁটিপশ্চিমবঙ্গ শাখার কমান্ডিং অফিসার জানান, সাগরদ্বীপে ১১ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। যা রাজ্য সরকারের কাছ থেকেই পাওয়া গেছে এবং পরিবেশ মন্ত্রকের কাছ থেকেও ছাড় পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে অনুমোদনের জন্য ফাইল পাঠানো হবে ভারতীয় নৌসেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতর বিশাখাপত্তনমে। সেখান থেকে যাবে দিল্লির কেন্দ্রীয় দফতর ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। এই ঘাঁটিতে নৌসেনার জাহাজ কতটা উপকৃত হবে, তা দেখে বাকি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নৌবাহিনী সূত্রের খবর, এই ধরণের ঘাঁটি থেকে সাধারণত লক্ষ্যবস্তুকে উদ্দেশ্য করে মিসাইল ছোঁড়া বা কামান চালানো হয়। সামুদ্রিক উপকূলরেখা এবং সীমান্তে নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রে এই ঘাঁটির গুরুত্ব অপরিহার্য্য। পূর্বাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাগরদ্বীপে ঘাঁটি তৈরী হলে বাংলার যথেষ্ট সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আগের তুলনায় ভারতের নজরদারি পরিকাঠামোকে আরো বেশি উন্নত করা হচ্ছে। আরও নতুন ভাবনা ভাবা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে অজ্ঞাতপরিচয় নৌকা বা মোটরচালিত নৌকাগুলির সন্দেহজনক গতিবিধির ওপর নজর রাখতে ইসরো, অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম দেওয়ার কথা বলেছিল। পশ্চিমবঙ্গের মৎসজীবীরা এই সুবিধা কবে পাবে তা এখনো বলা যাচ্ছেনা। তবে নৌঘাঁটি যে নৌসীমান্তের নজরদারি আরো জোরদার করবে, তা নিয়ে একমত সকলেই।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...