বিয়ের যৌতুক বই

বর এসেছে। বিয়েবাড়ি চলছে। আলো- রোশনাই। হাঁকডাক। অতিথিদের ভিড়। বিয়ের মন্ডপ ঘিরে জটলা। কিন্তু হঠাৎ দেখা গেল বিয়েবাড়ির বর-কনে থেকে অতিথিদের নজর ঘুরে গিয়েছে বাড়ির উঠোনের তুলসি মঞ্চের দিকে। সেখানে শুধু রাশি রাশি বই। শিবরাম, জেমসবন্ড, পরশুরাম থেকে শুরু করে ভারতের আধ্যাত্মবাদ, কথামৃত, শ্যামা সঙ্গীত ভক্তিগীতিও। দানের বাসন, অন্যান্য সব সামগ্রিকে ছাপিয়ে শুধু চোখ টেনে নেওয়া বই।

এমন কান্ড ঘটিয়েছে পরিবার। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হেঁড়িয়া থানার মিত্রচক গ্রামে। বিয়েতে পাত্রকে যৌতুক হিসাবে বই উপহার দিয়েছেন মেয়ের বাবা।

   প্রিয়াঙ্কা বেইজ আর সূর্যকান্ত বারিক। প্রিয়াঙ্কা বেইজ মুগবেড়িয়া কলেজে সঙ্গীত বিভাগের ছাত্রী। সূর্যকান্ত বারিক কলকাতার একটি বেসরকারী স্কুলে ইংরেজির শিক্ষক। দুজনেই বইপ্রেমি মানুষ। ওই অঞ্চলেই বাড়ি সূর্যকান্তর। সম্বন্ধ করে বিয়ে স্থির হয় এই মাসের ১৪ তারিখে। পাত্র প্রথম থেকেই পণ- যৌতুকের বিরোধী। বরপক্ষ জানিয়েও দেয় তাঁরা কোনও পণ নেবেন না।

 প্রিয়াঙ্কার পরিবার তাই যৌতুক হিসাবে বই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রিয়াঙ্কার বাবা অসিত বেইজ। পেশায় সঙ্গীত শিক্ষক। এ ব্যাপারে তাঁর প্রধান সহায়ক ছিলেন তাঁর শ্যালক মহাদেব মান্না। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁচবেড়িয়া স্মৃতি শিক্ষা মন্দিরের বাংলার শিক্ষক। এলাকায় লাইব্রেরি গড়ে তোলার কাজ করছেন।

অসিতবাবু ও মাহদেব বাবু দুজনে কলেজস্ট্রিটে এসে প্রায় ২৫ হাজার টাকার বাংলা বই কিনে নিয়ে যান।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...