৫০ দিনে লকডাউন

দেখতে দেখতে হাফ সেঞ্চুরি পার করে ফেলল দেশের লকডাউন। ৫০ দিন ধরে ঘরবন্দী সব মানুষ। একমাত্র লকডাউনের মাধ্যমেই নাকি আটকে দেওয়া যাবে কোভিড-১৯ এর ভয়াবহ ভাইরাসটিকে।

এই মুহূর্তে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ হাজার ২৮১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। চিনে সংখ্যাটা ৮৪ হাজার।সেদিক থেকে দেখতে গেলে সংক্রমনের হারে চীনের পরেই জায়গা করে নিয়েছে ভারত। তবে স্বস্তি একটাই যে মৃতের হার এদেশে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের মধ্যে করোনা সংক্রমণে এখনও একনম্বরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। প্রথম দিকে ঘরবন্দী হয়ে থাকার মধ্যে যেন রিলিফ পেয়েছিল সাধারণ মানুষ। মার্চ মাসের ২৪ তারিখে প্রথম পর্যায়ে যখন লকডাউন ঘোষণা করা হয় তার মধ্যে অনেকেই যেন বহু কাঙ্ক্ষিত ছুটির আভাস পেয়েছিল। ব্যাপারটা অনেকটা ‘এই তো কটা দিনের ব্যাপার’। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে তত ঘিরে ধরেছে হাড় হিম ভয় আর আতঙ্ক। সঙ্গে বিভ্রান্তি। করোনা সংক্রমন ছড়িয়েছে। সঙ্গে গুজব। ইতালি, ফ্রান্স, আমেরিকার ছবি যত সামনে এসেছে তত ভয় ছড়িয়েছে মানুষের মধ্যে।

বিভিন্ন রাজ্য থেকে ঘরে ফিরতে গিয়ে সঙ্কটে পড়েছে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। পরিসংখ্যানের বিচারে তাদের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে ৬৯ জনের।

পঞ্চাশ দিন পেরিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারত? লকডাউনের সুফল আদৌ পেল কী?

এরকম অনেক প্রশ্ন ঘোরা ফেরা করছে মানুষের মনে। উঠে আসছে পরস্পর বিরোধী তথ্য। কারও মতে ভারতের মত দেশে লকডাউন রোগ আটকাবে এমন ভাবনা বোকামী। আবার কারও মতে লকডাউন না হলে এতদিনে ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে যেত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

তর্ক যাই থাক না কেন লকডাউন বিপন্ন করে তুলেছে সব শ্রেণীর মানুষকেই।একদিকে রোগের ভয় আর একদিকে চূড়ান্ত আর্থিক অনিশ্চয়তা। ওই দুর্যোগের দিন কবে শেষ হবে, কবে ফিরবে স্বাভাবিক জীবন সেই আশাতেই দিন গুনছে মানুষ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...