সোনার আইসক্রিম

সম্প্রতি এক ভারতীয় ব্লগারের সৌজন্যে জুবিন দোশি আপাতত খবরের শিরোনামে। কিন্তু তিনি কে? আর হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হলেন কি করে? 

জুবিন একজন বিশুদ্ধ ভারতীয় ব্যবসায়ী, আর তিনি তাঁর ক্যাফেতে সোনার আইসক্রিম বানান, তবে দুবাইতে। নিশ্চয়ই ভাবছেন, সোনা আবার খাওয়া যায়? বিলক্ষণ যায়, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে তাই খাওয়াচ্ছেন তিনি। ‘গোল্ড প্লেটেড’ নয় এক্কেবারে বিশুদ্ধ সোনা।

Goldicecream1

সাধারণ ধারণা অনুযায়ী এক স্কুপ আইসক্রিমের মূল্য কত হতে পারে? বড় জোর ভারতীয় মুদ্রায় ১০০০ টাকা। কিন্তু ১ স্কুপ  আইসক্রিমের দাম যে ৬০,০০০ টাকা হতে পারে এমন শুনেছেন না কোনোদিন ভেবেছেন? হ্যাঁ, এই ভারতীয় ব্যবসায়ী সেটাই বানাচ্ছেন রোজ তাঁর ক্যাফে স্কুপিতে। আর এই আইসক্রিমেই আছে সোনা। নাম ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। যদিও শুধু সোনা নয়, আছে আরো বহু মূল্যবান অনুপান।

কী আছে এতে! আছে ভ্যানিলা ফ্লেভার, তবে ‘ভ্যানিলা’ বলতে যে স্বাদ প্রত্যক্ষ করেন এটি তা নয়, এটি ‘মাদাগাস্কার ভ্যানিলা’, সাথে আম্ব্রসিয়ান ইরানিয়ান স্যাফ্রন, যা সাংঘাতিক মানের ও দামের, ২৩ ক্যারেট ভোজ্য সোনার ফ্লেক্স, সোনার গুঁড়ো, ইতালির এলবা অঞ্চলের বিখ্যাত ব্ল্যাক ট্রাফল। আর এই ১ স্কুপ ব্ল্যাক ডায়মন্ডের মূল্য ৬০,০০০ টাকা (৩০০০ দিরহাম)। তবে ১ স্কুপ এখানকার ভারতীয় স্কুপের থেকে বেশ বড়, আর এটি সামনে বানানো হয়, বানিয়ে রাখা হয় এমন নয়।

Goldicecream2

এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো তরল নাইট্রোজেন। সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে তরল নাইট্রোজেনের সাহায্যে কমপ্রেস করে মিনিট দশেকেই বানানো হয় এই ব্ল্যাক ডায়মন্ড। উপর থেকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় কেশর, ব্ল্যাক ট্রাফল, সোনার ফ্লেক্স ও সোনার গুঁড়ো। আর দেওয়াও হয় এক অত্যন্ত সুন্দর ভার্সাচে পাত্রে সাথে রুপোর চামচ, যা চাইলে আপনি বাড়িও নিয়ে যেতে পারেন।

অভিনেত্রী এবং ব্লগার শেহনাজ শাহ একটি ভিডিওতে এই মহার্ঘ আইসক্রিমের ছবি আর তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছেন। এই ‘স্কুপি’ রয়েছে জুমেইরাহ রোডে, খোলা দুপুর ৩টে থেকে রাত ২টো পর্য্ন্ত , তবে শুধু এই আইসক্রিম নয়, প্রচুর হ্যান্ড ক্র্যাফটেড চকলেট, সোনার কাপুচিনো, নানা স্বাদের আইসক্রিম, ওয়াফেল, স্যাফ্রন চকলেট, সোনার বার্গার, কফির সম্ভার মিলবে এক ছাদের নিচে।

Goldicecream3

মাত্র ২৩ বছর বয়সে এক্কেবারে আলাদা কিছু করতে আমেরিকা থেকে নাইট্রোজেন দিয়ে আইসক্রিম বানানোর ৩ মাসের প্রশিক্ষণ নেন জুবিন,আর এখন জনপ্রিয়তা ও চাহিদায় আরো তিনটি আউটলেট খোলেন দুবাই, রাসেল খেইমাহ, দুবাই মলে।  ইতিমধ্যেই স্বাদের সাথে আপোষ না করে বহু মানুষ মজেছেন এই সোনার বলে। 

যাঁরা ভাবছেন যে এই ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ খেতে দুবাই যেতে হবে? তাঁদের জন্য সুখবর। ভারতেও খুব শীঘ্রই খুলতে চলেছে এই স্কুপি। তবে দুবাইতে জনপ্রিয় হলেও এখানে কতটা সফল হবে তাই দেখার। খাওয়া না হলেও চাক্ষুষ দেখা তো যাবে, সেই বা কম কী? অপেক্ষা শুধু কয়েক মাসের।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...