In English
এক অদ্ভুত তাজ্জব কান্ড দেখা গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার এক ছোট্ট শিশুর মধ্যে। সেই কান্ড দেখলে রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন আপনিও! হ্যাঁ সত্যি।
পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের এড়াল অঞ্চলের নেউলবাঁধি গ্রামের শিশু। নাম ঐন্দ্রি মোহান্ত। ঐন্দ্রির বয়স সবে মাত্র দু-বছর। কিন্তু এই শিশু বয়সেই সে প্রায় ৫০টি ইংরেজি শব্দের বাংলা মানে বলতে পারে। এছাড়াও মুখস্ত প্রায় ১৫টি জেনারেল নলেজ প্রশ্নের উত্তর। অন্যদিকে প্রায় দশটি প্রাণীর মিমিক্রিও করতে পারে খুদে ঐন্দ্রি। তার এই অসাধারণ প্রতিভা দেখে ধন্য ধন্য করছে গোটা পরিবার সহ বর্ধমানের মানুষজন। জানা গিয়েছে যে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফ থেকে ‘অপ্রিসিয়েশন সার্টিফিকেট’ও এসেছে মোহান্ত বাড়িতে।
তবে, ঐন্দ্রির এই কীর্তিতে আপ্লুত তার মা কবিতা মোহান্ত ও বাবা উৎপল মোহান্ত। বাবা উৎপল বর্তমানে বিএসএফ জওয়ান হিসেবে কর্মরত। তাই বাড়িতে ঐন্দ্রিকে সবথেকে বেশি সময় দেন মা কবিতা দেবী। কবিতা দেবীর প্রচেষ্টাতেই ছোট্ট ঐন্দ্রির এই বয়সে এত জ্ঞান।
কবিতা দেবী জানান যে বাবা-মা হিসেবে তাঁরা খুবই খুশি। তাঁরা চেষ্টা করবে মেয়ের আরও উন্নতি করবে। তবে শুরুটা হিয়েছিল একটু অন্যরকম ভাবে। খুদের বয়স যখন সাত মাস কেবল অন্নপ্রাশন হয়েছে তারপর থেকেই ওর কিছু কিছু জিনিস লক্ষ্য করা হয়। যেমন, ও যখন কান্নাকাটি করত তখন ওকে কোনও খেলনা দিয়ে বা মোবাইল ফোন দিয়ে চুপ করানো যেত না সেই জায়গায় যদি ওকে পড়ার বই সামনে রেখে পড়ানো হত তাহলে সেটাও খুব মন দিয়ে শুনত। যখন ওর প্রায় ১ বছর ৭ মাস বয়স হয় তখন ও ঠিকমত কথা বলতে পারত না।
কবিতা দেবী আরও জানান যে এখন মেয়ের প্রায় দু বছর বয়স হল। কিন্তু সাধারণ বাচ্চারা যে কথাগুলো বলে সেগুলো এখনও পর্যন্ত বলতে পারে না। অথচ যখন ওর ১ বছর ৮ মাস বয়স তখন কবিতা দেবী ওকে বর্ণমালা ক্যালেন্ডার দেখিয়ে কথা বলার সব অক্ষরগুলো চেনাচ্ছিলেন। তখন দেখা যায় এই শব্দগুলোকে ও খুব সহজেই মনে রাখতে পারছে এবং তারপর এভাবেই ওকে শেখাতে আরম্ভ করা হয়।
ঐন্দ্রির মা কবিতা দেবী আরও জানিয়েছেন যে এখানেই শেষ নয়। ওকে আরও ভালভাবে শিক্ষাদান করার চেষ্টা করবে এবং আগামী দিনে ঐন্দ্রি যেন আরও ভাল জায়গায় পৌঁছতে পারে সেই প্রচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে।
