জাতীয় স্মারক হিসেবে ঘোষণা করা হল রাজ্যের মোট ১৩৫টি সৌধকে

পশ্চিমবঙ্গের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ইতিহাস একেবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তুলে ধরার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। সম্প্রতি এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি এবং পর্যটনমন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং পটেল। তবে এই ব্যাপারে সরকার সঠিকভাবে কী পদক্ষেপ নেবে, তার বিস্তারিত তথ্য এখনও কিছু তৈরী করেনি সরকার।

                 মোট ১৩৫টি সৌধকে জাতীয় স্মারক হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, আপাতত বাংলার আর নতুন কোনও সৌধ বা স্মৃতিস্তম্ভকে জাতীয় স্মারক হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব কেন্দ্র বিবেচনা করছে না। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় সরকার মোট ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। রাজ্যের এই ১৩৫ টি জাতীয় স্মারকের রক্ষণাবেক্ষনের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে কেন্দ্র মোট খরচ করেছে ৯ কোটি ৪৭ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা। লোকসভায় সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি এবং পর্যটনমন্ত্রীর পেশ করা তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, হাওড়া, মালদা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, পুরুলিয়া, দার্জিলিং, উত্তর-দক্ষিণ ১৪ পরগনা এবং কলকাতার মোট ১৩৫টি সৌধ ও স্মৃতিস্তম্ভকে ইতিমধ্যেই জাতীয় স্মারক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। 

               রাজ্যের উল্লেখযোগ্য জাতীয় স্মারকগুলি হল কোচবিহার রাজবাড়ি, বীরভূমের জয়দেবের মন্দির (রাধাগোবিন্দ মন্দির), মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি ও ইমামবাড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক রাজবাড়ি, উত্তর চব্বিশ পরগনার ২৬ শিবের মন্দির, বর্ধমানের ইছাই ঘোষের মন্দির, মালদহের চাঁদ সদাগরের ভিটে, বাইশগজি দেওয়াল, ওয়ারেন হেস্টিংসের বাড়ি, বড়কুঠি নামে পরিচিত ক্লাইভের বাড়ি, কলকাতার টাঁকশাল, এশিয়াটিক সোসাইটি ওল্ড বিল্ডিং, সেন্ট জন্স চার্চ, মেটক্যাফে হল প্রভৃতি রয়েছে এই তালিকায়।

                কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, সংগ্রহালয় সংক্রান্ত যে কেন্দ্রীয় প্রকল্প আছে, তার কাজ চলছে পশ্চিমবঙ্গেও। এবারের সাধারণ বাজেটেও মিউজিয়ামের উন্নয়ন খাতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...